দেশজুড়ে এডিস মশার বিস্তার ঠেকাতে বিশেষ ব্যাকটেরিয়াযুক্ত পুরুষ এডিস মশা কেনার পরিকল্পনা করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। এজন্য একটি কমিটিও গঠন করা হয়েছে। কমিটি তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজও শুরু করেছে। তবে পুরো বিষয়টি এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমানে চীনসহ বিশ্বের ১৭টি দেশ এমন একটি প্রকল্প নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করছে। তাদের প্রকল্পের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ। দেশগুলো সফল হলে বাংলাদেশও এমন প্রকল্প গ্রহণ করবে।
এ তথ্য জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের জাতীয় ম্যালেরিয়া নির্মূল কর্মসূচির মেডিক্যাল অফিসার ডা. মো. রাশিদুজ্জামান খান।
বুধবার (১৫ মে) উত্তরা কমিউনিটি সেন্টারে ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বিষয়ক অবহিতকরণ সভায় এই তথ্য জানান তিনি। ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের যৌথ উদ্যোগে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জানানো হয়, যদি দেশে চিকুনগুনিয়া বা ডেঙ্গু প্রকট আকার ধারণ করে তখন স্ত্রী এডিস মশা ধ্বংস করতে দেশে দুই তিন লাখ পুরুষ এডিস মশা আমদানি করে ছেড়ে দেওয়া হবে। তবে সেটা হতে ৫ বছরও লাগতে পারে আবার এরচেয়ে কম সময়ও লাগতে পারে।
ডেঙ্গু ও চিকুনগুনিয়া বিষয়ক অবহিতকরণ সভা
ডা. মো. রাশিদুজ্জামান খান বলেন,বিশ্বের ১৭টি দেশে এডিস মশা ধ্বংস করতে একটি প্রকল্প নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে। সেই প্রকল্পের মাধ্যমে পুরুষ এডিস মশার শরীরে ‘ওলভাটিয়া’ নামক ব্যাকটেরিয়া ঢুকিয়ে দেওয়া হবে। আর ওই পুরুষ মশাটি স্ত্রী এডিস মশার সংস্রবে গেলে স্ত্রী মশাটিও প্রজনন ক্ষমতা হারিয়ে ফেলবে। এভাবেই বিশ্ব থেকে এডিস মশার বিস্তার রোধ করা যাবে।
তিনি আরও বলেন, বিষয়টি এখনও পরীক্ষাধীন পর্যায়ে থাকলেও চীন এরইমধ্যে উৎপাদনে গেছে। ওই প্রকল্পটি সফল হলে পুরুষ মশা আমদানি করে কীভাবে দ্রুত এই দেশ থেকে এডিস মশা বিতরণ করা যায় সে বিষয়ে বাংলাদেশ কাজ শুরু করবে। স্বাস্থ্য অধিদফতর এ নিয়ে কাজ করছে।
ডিএনসিসি’র অঞ্চল-১-এর নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সেলিম ফকিরের সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন ডিএনসিসি’র প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মোমিনুর রহমান মামুন। বক্তব্য দেন ডিএনসিসি’র স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মো. ইমদাদুল হক, অঞ্চল-১ এর সহকারী স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আজিজুন জোহা প্রমুখ।